ফাষ্ট ক্রাইম

প্রতিদিনের প্রথম খবর- ফাষ্ট ক্রাইম

Basnetg.com - Premium Blogger Templates

খেলাধুলা ও পড়াশুনা


মাশরাফি বিন মুর্তজা

আর কত অপেক্ষা?

কবে সুস্থ হবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা? কবে ফিরবেন মাঠে? এসব প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে নির্বাচকেরাও বুঝি এখন ক্লান্ত। তাঁরা চান, যত দ্রুত সম্ভব মাঠে ফিরুক মাশরাফি। তবে ঘুরেফিরে সেই প্রশ্নটাই চলে আসে সামনে—মাশরাফি আসলে কবে ফিরতে পারবেন?
গত বিপিএলের পর থেকেই গোড়ালির চোটের সঙ্গে লড়তে থাকা মাশরাফিকে সরাসরি আন্তর্জাতিক ম্যাচে নামিয়ে দিতে রাজি নয় আকরাম খানের নির্বাচক কমিটি। আগস্টে ইংল্যান্ড সফর আছে ‘এ’ দলের। অক্টোবরে নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে মাশরাফির অবস্থাটা সেখানেই বুঝে নিতে চান প্রধান নির্বাচক আকরাম খান, ‘মাশরাফি অনেক দিন ধরে খেলায় নেই। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ওর ম্যাচ প্র্যাকটিসের দরকার আছে। সে জন্য আমরা চাই ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে “এ” দলের হয়ে সে ২০, ২২ ও ২৪ আগস্ট শেষ তিনটি ম্যাচে খেলুক।’
সব ঠিক থাকলে সে ক্ষেত্রে হয়তো ঈদের পরপরই ইংল্যান্ডের বিমান ধরবেন মাশরাফি। তার আগে ‘এ’ দল চলে যাবে আগামী ২ আগস্ট। ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে খেলার আগে ম্যাচ আছে হ্যাম্পশায়ার, ইয়র্কশায়ার, ল্যাঙ্কাশায়ার, নটিংহামশায়ার ও উস্টারশায়ারের বিপক্ষে।
মাশরাফি ‘এ’ দলের হয়ে খেলার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন আকরাম। যদিও মিরপুরে কাল অনুশীলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের মাশরাফি বলেছেন, ‘এখনই এ ব্যাপারে কথা বলা ঠিক হবে না। তবে আমি এখনো ফুল রানআপে বোলিং শুরু করিনি। গোড়ালির রিহ্যাব চললেও আমার হাঁটুতেও সমস্যা আছে।’ গোড়ালির ব্যথা কমে যাওয়ায় অল্প রানআপে বোলিং শুরু করেছেন। তবে ফিজিও বিভব সিংয়ের হিসাবে পুরোপুরি ফিট হতে আরও মাস খানেক লাগবে মাশরাফির। নির্বাচকেরা তাঁকে ইংল্যান্ডে খেলানোর কথা ভাবছেন সেটা ধরেই। সুস্থ হয়ে গেলে খেলতে আপত্তি নেই মাশরাফিরও। তবে দুশ্চিন্তা একটা জায়গাতেই, ‘পুরো সুস্থ না হয়ে মাঠে নামলে যেকোনো সময় ইনজুরিতে পড়তে পারি। আমার গোড়ালির পরিচর্যা করলেও হাঁটুর পরিচর্যা করা হয়নি। হাঁটুতে কিছু হলে আমার জন্য ফিরে আসা কঠিন হবে। ফিজিও-ট্রেনাররা সব দিক চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেবেন আশা করি।’
চোটের ধাক্কা সামলাতে মাশরাফির কেন এত দিন লাগছে—এই প্রশ্নটাও উঠছে। আকরামের কণ্ঠে তো ক্ষোভই প্রকাশ পেল, ‘সাত মাসেও যখন সে সুস্থ হয়নি, ধরেই নিতে হবে তাঁর চিকিৎসায় গলদ আছে। অথবা সে নিজে ঠিকভাবে রিহ্যাব করেনি।’ তার মানে অভিযোগটা বিসিবির ফিজিও, চিকিৎসক এবং খোদ মাশরাফির বিপক্ষেও। এ নিয়ে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কেন কথা বলছেন না নির্বাচকেরা? ‘ক্রিকেট অপারেশনসের গত সভায়ও আমরা বিষয়টা তুলেছি’—উত্তর আকরামের। পুনর্বাসনে ঢিলেমি দেওয়ার কথা অবশ্য স্বীকার করেছেন মাশরাফিও, ‘জিম্বাবুয়ে সফরে না যাওয়ার পর আমি পুরোপুরি রেস্টে চলে যাই। হাতে অনেক সময় ছিল। ব্যথাটা পুরোপুরি দূর করার জন্য দেড়-দুই মাস বিশ্রামে ছিলাম। কিন্তু তাতে ব্যথা কমার সঙ্গে ফিটনেসও কমে গেছে।’
টেস্ট ক্রিকেট তো ভুলেই যেতে বসেছেন, সর্বশেষ খেলেছেন ২০০৯ সালের জুলাইয়ে। পুরোপুরি সুস্থ হলে এবং নির্বাচকেরা চাইলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই টেস্টে ফিরতে রাজি মাশরাফি। তবে তাঁর ইচ্ছা আগামী বছরে ফেরার, ‘আমি চাচ্ছিলাম, এবারের জাতীয় লিগটা খেলে আগামী বছর টেস্টে ফিরতে। জাতীয় লিগে টানা ১০-১৫ ওভার বল করতে পারলে বুঝব টেস্ট খেলার ফিটনেস ফিরে এসেছে।’
দুই হাঁটু মিলে অস্ত্রোপচার হয়েছে সাতবার! মাশরাফির চোট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে তাই সব সময়ই বড় প্রভাবক হয় তাঁর মানসিক শক্তি। এবার যেন সেটার ঘাটতি দেখছেন অনেকেই। মাশরাফি অবশ্য প্রতিবাদ করলেন, ‘মানসিক দিক থেকে আমি ভালো আছি, এখন শারীরিকভাবে ঠিক থাকলেই হয়।’
মাশরাফির দ্রুত মাঠে ফেরাটা এখন শুধু প্রত্যাশাই নয়, তাঁর দীর্ঘ অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনাটাকে থামিয়ে দিতেও সেটি জরুরি।

Subscribe to our RSS Feed! Follow us on Facebook! Follow us on Twitter! Visit our LinkedIn Profile!